এস এ মিডু, রাহে ভান্ডার ইনফরমেশন ডেক্স:
হযরত নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী (মা.) এমপির নেতৃত্বে বাহাসের জন্য সদা প্রস্তুত রাহে ভান্ডার ওলামা পরিষদ.
বিগত ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২০ ইং, ৯ ফাল্গুন ১৪২৬ বাংলা রোজ শনিবার রাহে ভান্ডার ওলামা পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের এক প্রতিনিধী দল জরুরী সভা আহ্বানের মাধ্যমে সাক্ষাৎ করেন রাহে ভান্ডার ওলামা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান পৃষ্ঠপোষকের সহিত।
বাংলাদেশ সংসদীয় আসন ২৭৯ (চট্টগ্রাম- ২)- এর মাননীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান হযরতুলহাজ্ব ছুফি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী (মা.জি.আ.)- এর ঘোষিত ধর্মীয় নীতিনির্ধারনী বাহাসে যথাযথ তথ্য, উপাত্ত ও ধর্মীয় দলিলাদি নিয়ে সুসংহত ভাবে অংশগ্রহনের অনুমতি চেয়ে চট্টগ্রাম দরবার শরীফের বর্তমান সাজ্জাদানশীন- রাহে ভান্ডার সিলসিলার গ্রান্ড শায়েখ- ইউনিভার্সেল ছুফি ফেস্টিবলের আয়োজক- রাহে ভান্ডার ওলামা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক হযরতুল আল্লামা ছুফি ছৈয়দ জাফর ছাদেক শাহ (মা.জি.আ.)-এর সাথে জরুরী এ সভায় মিলিত হন পরিষদের উচ্চপর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
রাহে ভান্ডার ওলামা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক হযরতুল আল্লামা ছুফি ছৈয়দ জাফর ছাদেক শাহ (মা.জি.আ.) নেতৃবৃন্দের এ আবেদন প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে মঞ্জুর করেন ও গুরুত্বপূ্র্ণ দিক নির্দেশনা দেন।
নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ছুফি- দরবেশের নীতি আদর্শে অনুপ্রাণিত এতদ্বাঞ্চলের তরীকত পন্থি শান্তিপ্রিয় মুসলিম জনগণের প্রাণের দাবী সমূহ তুলে ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম ও মেধাসমৃদ্ধ প্রতিনিধিত্ব করছেন চট্টগ্রাম- ২ আসনের মাননীয় সাংসদ ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান হযরত আলহাজ্ব ছুফি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী আল-হাসানী ওয়াল হোসাইনী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী ছাহেব।
আমরা যারা বিভিন্ন তরীকা ও সিলসিলার প্রচার- প্রসারের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নীতি- আদর্শ শিক্ষা দিয়ে শান্তি- উন্নতির ধারা বেগবান করতে রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি, তাদের মনের একান্ত কথাগুলিই সংসদে তুলে ধরেছেন এ শাহজাদায়ে গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ স্থরে এ কথাগুলি তুলে ধরায় তরীকত পন্থি সকল মানুষ আজ তার নিকট কৃতজ্ঞ। তিনি যে শান্তিপূর্ণ বাহাস বা মোনাজেরা তথা ধর্মীয় নীতিনির্ধারনী আলোচনার ডাক দিয়েছেন, তা আজ সময়ের দাবী।
আল্লামা ছুফি ছৈয়দ জাফর ছাদেক শাহ (মা.জি.আ.) আরও বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। কোরআন ও হাদিস হল এর মূল দলীল। ইসলাম ধর্মের বিধিবিধান ও রীতিনীতি এ কোরআন ও হাদিস ভিত্তিক হওয়া ছাড়া কোন গত্যান্তর নাই। তাই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সহ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকগনের উপস্থিতিতে তিনি দেশের রাজধানীতে আলোচনার যে ডাক দিয়েছেন তা সর্ববিষয় বিবেচনায় যথাযথ ও যুযোপযোগী হয়েছে। আমরা এ যুগান্তকারী আহ্বানের সাথে সর্বাত্বক ভাবে একাত্বতা ঘোষণা করছি।
রাহে ভান্ডার ওলামা পরিষদের অংশগ্রহন বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান হযরতুলহাজ্ব ছুফি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী (মা.জি.আ.)-এর নেতৃত্বে এবং উনার নির্দেশ মোতাবেক যেকোন সময়ে, দেশের যেকোন স্থানে মোনাজেরায় অংশ নিতে সদা-সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে এ পরিষদের বিজ্ঞ নেতৃবৃন্দ।
রাহে ভান্ডার ওলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি মওলানা তানবিরুল ইসলামের পরিচালনায় উক্ত জরুরী সভায় সভাপতিত্ব করেন হযরত মুফিতি মওলানা আবুল কাশেম। উক্ত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মুফতি মওলানা নিজামুদ্দিন চাদপুরী, মুফতি মওলানা আব্দুল হান্নান, মুফতি মওলানা ফখরুদ্দিন চাদপুরী ও মুফতি মওলানা আব্দুছ ছাত্তার।